সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম - বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার জান

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম - বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার জানুন
Tech Taosin

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানুন। পৃথিবীর সকল ধর্মেই এই বিষয়টি চালু আছে যে বিয়ে। তাই আজকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামে বিয়ে সম্পর্কে যে নিয়ম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন তা জেনে নিন।

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম - বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার জানুন


এছাড়া আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করবো, বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার বিবাহ পড়ানোর খুতবা, ইসলামে বিবাহ পড়ার নিয়ম, কালিমা পড়ে বিয়ে করার নিয়ম যেই অনুযায়ী বর্তমান সমাজে বিয়ের প্রথা প্রচলিত রয়েছে।

ভূমিকা দেখুন

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানেন কি? বিয়ে হচ্ছে একটি আরবি শব্দ যার অর্থ নিকাহ, বা সম্পর্ক তৌরী করা। বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে একটি মানুষের সাথে অপর একটি মানুষের দীর্ঘমেয়াদী একটি সম্পর্ক গড়ে দেওয়া হয়। এ সম্পর্কটি তৈরি করার জন্য অবশ্যই নিজেদের মধ্যে পছন্দ বা সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিয়ে দেওয়ার সময় একে অপরের সম্মতি জানতে হয়। যেমন, বর ও কন্যা কি বিয়েতে রাজি আছে? যে সকল মানুষের যৌন চাহিদা রয়েছে এবং তারা সততার সাথে তার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই তারা যেন বিয়ে করে। তবে যাদের সামর্থ  নেই,  তাদের সমার্থ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না করা উচিত।  

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানুন 

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানা প্রয়োজন। বিবাহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং কোন বিয়ে সঠিক হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য বিবাহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। আপনি যদি বিবাহ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন বা সঠিক বিষয়টি জানেন তাহলে যে কেউ বিবাহ করতে গিয়ে কোন ভুল করলে তা বুঝতে পারবেন। বা সেটা ধরিয়ে দিতে পারবেন। তাই শরীয়তের সুন্নাত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর জন্য কিছু বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার দেখে নিন। 

প্রথমে বিয়ে সম্বন্ধ তৈরি করার জন্য একে অপরের পরিবার এবং বিশেষ করে যাদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কটি তৈরি করা হবে, তাদের অনুমতি নিতে হবে। এ বিষয়টি বিবাহ বন্ধন এর একটি মূল পাঠ। কারণ যাদের বিয়ে হয় তারা একসাথে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে যেন পারে সেই জন্য অবশ্যই দুজনের ভিতরে মিল বা মতামতের মিল থাকতে হবে। এবং শরীয়ত নিয়ম অনুযায়ী কেহ যদি কাউকে বিয়ে করতে চাই। 

সেক্ষেত্রে তাকে প্রথমে সেই বাড়ির অভিভাবকে বা কন্যার মা-বাবার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এবং তাদের সম্মতিতে কন্যার সাথে কথা বলতে হবে এবং দেখতে হবে যে, সে বিয়েতে রাজি আছে কিনা। যদি মেয়ে বিয়েতে রাজি থাকে এবং ছেলে, উভয়ই বিয়েতে রাজি থাকে তাহলে বিয়ে করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি দিন নির্ধারণ করতে হবে, জুম্মার দিন হলে ভালো হয়। তবে বিভিন্ন দিনে বিবাহ পড়া যায়। তবে আল্লাহতালা বলেছেন যদি বিবাহ বন্ধনের মধ্যে কোন জোরজবস্তি থাকে তাহলে সেটা খারাপ প্রভাব পড়ে সম্পর্কের মধ্যে, তাই দুজন কে জেনে বিবাহের কথা বলতে হবে।

যেকোনো বিয়েতে অবশ্যই বর এবং কন্যা উভয়েরই সম্মতি থাকতে হবে এছাড়া বিয়ে করা জায়েজ নয়। যা আবু হুরাইয়া এবং আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এবং একজন বিধবা নারীকে বিবাহ করতে হলেও তার সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন, সম্মতি ছাড়া বিবাহ করা জায়েজ নয়। সকল কিছু সঠিক থাকলে বর ও মেয়ে পক্ষের বাড়িতে বিবাহ করার জন্য যাবে। সেখানে গিয়ে ইমাম এর মাধ্যমে খুতবা পাঠ করে সকল উপস্থিতির সামনে বরের সামনে মেয়ের অভিভাবক থাকবে। 

সেখানে তিনি তার পরিচয় ও দেনমোহরের পরিমাণ উল্লেখ করে বিবাহর প্রস্তাব করবেন ছেলের কাছে।  বর পক্ষ সকল বিষয়ে মেনে নেওয়ার পর তাদের সম্মতি অনুযায়ী কবুল বা আমি রাজি আছি বলবে। তবে বিবাহের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করা যায় না বা বিয়ে হয় না। বলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। তিরমিজি হাদিস নাম্বার (১১০১)। 

এবং ব্যবহার নিয়ম টি হল, যিনি বিবাহ পড়াবেন তিনি উপস্থিত মজলিসে হবু বরের উদ্দেশ্যে বলবেন যে অমুকের মেয়ে অমুকের সাথে এত টাকা দেনমোহরানায় আপনার কাছে বিবাহ দিলাম আপনি বলুন কবুল। এই বিবাহ পড়ানোর সময় কমপক্ষে দুইজন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে। এই বিষয়টি তিনবার উচ্চস্বরে কবুল পড়তে হবে বরকে, যা সহি বুখারীর হাদিস নাম্বার ৯৫ এর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। 

একই নিয়মে কন্যার কাছ থেকে সকল বরের ঠিকানা পরিচয় এবং নাম সহ দেনমোহরানা উল্লেখ করে তার কাছে অনুমতি সহকারে জানতে চাইতে হবে যে তিনি রাজি আছেন কিনা এবং রাজে থাকলে কবুল বলতে হবে। এবং এই নিয়মে সহজেই প্রথমে খুতবা পাঠ করতে হবে এবং এর পরে এই ইসহাক বা কবুল প্রস্তাব দিতে হবে। এভাবে সম্পূর্ণ বিবাহটি সম্পন্ন হবে এবং দুইজন একে অপরের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে যাবে। 

বিবাহের খুতবা পড়ার জন্য প্রথমে বিবাহের সময় আল্লাহর প্রশংসনীয় কিছু ছানা বা হামদ পড়ে নিতে হবে। তারপর পবিত্র কোরআনের তিনটি আয়াত পাঠ করতে হবে। যথাক্রমে সূরা নিসা আয়াত নং ১, সূরা আল ইমরান আয়াত নাম্বার ১০২, সূরা আহযাব আয়াত নাম্বার  ৭০-৭১ এর হাদিস রয়েছে। সুনানে আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ২১১৮। আশা করি বুঝতে পেরেছেন শরীয়তি সুন্নাহ তরিকায় কিভাবে বিবাহ দেওয়া হয়।

বিবাহ পড়ানোর নিয়ম আলকাউসার জানুন 

বিবাহ পড়ানোর নিয়ম আলকাউসার হল একটি নিয়ম যার মাধ্যমে একটি দাম্পত্য জীবন শুরু হয়। তাই আপনি যদি একজন মেয়েকে বিয়ে করতে চান। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিবাহ পড়ানোর আল কাউসার নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে। এ প্রক্রিয়াটি হল বিবাহ করানোর পূর্বে বিবাহ পাত্রী এবং বর কনে উভয়ের সাথে উভয়ের কথা বলানোর মাধ্যমে তাদের দুজনের রাজি খুশি আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। 

যদি বর এবং কন্যা একে অপরকে পছন্দ করে এবং সহমত দেয় বিবাহ করার জন্য সেই ক্ষেত্রে আপনি বিবাহ আবদ্ধ হতে পারেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে আপনার অভিভাবক কে নিয়ে বিবাহ করার জন্য মেয়ের বাসায় বা মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হতে হবে। যদিও বর্তমান সময়ে মসজিদে যাওয়ার প্রচলনটি নেই তবে মহানবীর সময়ে বিভিন্ন বিয়ের কাজ মসজিদে নববীতে করানো হতো এবং মহানবী নিজেই এই কাজটি করতেন। 

তবে বর্তমান অলি-আওলিয়া এবং মাওলা দের মাধ্যমে বিবাহ কাজ সম্পন্ন করা হয়। সেজন্য ছেলে পক্ষের সবাইকে দুইজন সাক্ষী সহকারে এবং মেয়ে পক্ষের দুজন সাক্ষী সহকারে খুতবা পড়ে বিয়ের দেনমোহর এবং ছেলের নাম উল্লেখ করে, তার কাছে মেনে নেওয়ার জন্য অনুমতি চেতে হবে বা সে কি মেয়েটিকে কবুল করেছে কিনা তা জানতে চাইতে হবে। যদি সে কবুল বলে তাহলে কাজটি সম্পূর্ণ হয়ে গেল। একই পদ্ধতিতে মেয়ের বাবা অথবা ছেলের বাবা এ কাজটি করতে পারে যদি তাদের জানা থাকে। 

এছাড়া ইমাম সাহেব বলবেন, অমুকের মেয়ে অমুকের ছেলের সাথে এত টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে অবশ্যই কবুল বলুন। ছেলে কবুল বলার পরে উপস্থিত সকলের হাদিসে বর্ণিত দুটি দোয়া পড়বে যেমন, বারাকাল্লাহু লাকুমা, ওয়া বারাকাল্লাহু আলাইকুম, ওয়া জামা আ বাইনাকুম ফী খাইর। এবং বিবাহ সম্পূর্ণ হবার পরে ছেলে দাঁড়িয়ে সবাইকে সালাম দিবে। এইভাবে মেয়ের কাছ থেকেও তার স্বীকারোক্তি নিতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন খাতায় সই করে নিতে হবে। 

মসজিদে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম মাসিক আল কাউসার জানুন 

মসজিদে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম মাসিক আল কাউসার বলতে বোঝানো হয়েছে, মসজিদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন করার বিষয়টিকে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় মসজিদে বিভিন্ন ভক্ত এবং সাহাবাদের বিবাহ সম্পন্ন করা হতো আল্লাহতালার আইনে। তাদেরকে দেনমোহর পরিশোধ করতে বলা হত এবং যদি স্বামী বা সামী পক্ষের দেনমোহর পরিশোধ করার মতন সমর্থন না থাকতো সেই ক্ষেত্রে স্ত্রীকে তার দেনমোহরের সম্পদের পরিমাণ মাফ করে দিতে বলা হত, দেন মোহর প্ররিশোধ না স্ত্রী জায়েজ নয়। 

এবং উপরে উল্লেখিত উপায়ে মসজিদে নববীতে মহানবী নিজেই তাদের সাহাবাদেরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতেন। তবে বর্তমানে এর প্রচলন তেমন একটা নেই বললেই চলে মানুষ বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ছেলেপক্ষ বিয়ে করে থাকে। একজন অবিবাহিত প্রথমে বিয়ে করার জন্য পছন্দ করে দেখে মেয়ে। এরপর মেয়ে পছন্দ হলে সেই পরিবারের মানুষদের সাথে কথা বলে এবং সেই পরিবারের লোকজন এবং সেই মেয়ের যদি ছেলে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ের কথাবার্তা ঠিক করা হয়। 

ইসলামে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানুন 

ইসলামে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম ইসলামী ইতিহাস অনুযায়ী যা দেখা গেছে এবং হাদিস কুরআন অনুযায়ী যা বুঝতে পারা গেছে সেই নিয়ম গুলো অনুসরণ করে বিবাহ সম্পর্ক তৈরি করতে হয়। একজন মানুষ ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম অবলম্বন করে। তারপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যদিও একজন মানুষ এই বিবাহ বন্ধনে একাধিকবার আবদ্ধ হতে পারে তবুও সকল সময়ে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।

ইসলামে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম

এর মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরণ এবং সারা জীবন একসাথে বেঁচে থাকার অঙ্গীকার পাই। তাই আপনি যদি ইসলামী বিবাহ করার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে অবশ্যই জানতে পারবেন, যে মুসলিম সমাজের রীতিনীতি অনুযায়ী কিভাবে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ইসলামী বিবাহ পড়ার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একে ওপরের সম্মতি যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনের সম্পর্কটি তৈরি হবে। 

যদিও বর্তমান যুগে মেয়েদের সম্মতির তেমন কোন প্রাধান্য দেওয়া হয় না, তবুও এই বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একজন মানুষ বা একজন মেয়ে তার স্বামীর সংসারে গিয়ে সারা জীবন থাকতে হবে সেই ক্ষেত্রে তার সাথে যদি স্বামীকে যদি পছন্দ না হয় তাহলে তার সাথে থাকা কষ্টদায়ক। যেহেতু ইসলাম শান্তির ধর্ম তাই শান্তির প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলের সম্মতি প্রয়োজন তাই বিয়ে প্রধান বিষয়টি হচ্ছে একে অপরের সম্মতি। 

মোবাইলে বিয়ে পড়ানোর নিয়ম জানুন 

মোবাইলে বিয়ে পড়ানোর নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। যে এক দেশ থেকে আরেক দেশে মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। বর্তমানে এই প্রচলনটি রয়েছে বিভিন্ন বিদেশে থাকে এমন বর তাদের বিবাহ সম্পন্ন করার জন্য মোবাইল বা ভার্চুয়াল ভাবে দেখাশোনা করার পর বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে। এখানে একে অপরকে দেখতে পাই এবং সকল প্রক্রিয় শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী পালন করা হয়। 

তবে মোবাইলে বিয়ে পড়ানোর জন্য যে কাজটি করা হয়। সেটি হচ্ছে কাজী মেয়ে এবং ছেলে উভয়পক্ষের সাথে যেহেতু একই সাথে দেখা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে মোবাইলের ভার্চুয়াল দেখার সময়ই তা নির্ধারণ করা হয়। প্রথমে সকল বিষয় পালন করা হয় যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি সাধারণ বিয়ের ক্ষেত্রে। এরপর বর কনের পক্ষ থেকে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের সম্মতি যাচাই করা হয়। উভয়ের সম্মতি থাকলে বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করার জন্য মাওলানা সাহেব তার খুতবাটি পরে, এরপর ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের কাছে তাদের সম্মতি জানিয়ে কবুল বলতে বলা হয়। 

এবং এই ভাবেই তাদের সমস্ত বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। যখন খাতা পত্র বা হিসাব নিকাশের কথা আসে তখন এই কাজটি করার জন্য অনলাইন ভিত্তিক হিসাব নিকাশ পাস সই করার ব্যবস্থা রয়েছে। যা এই বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আপনি দেশে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশের মানুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান তাহলে এই মোবাইলে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। বর্তমানে অনেক বিবাহ এই উপায়ে সম্পূর্ণ করা হয়। 

যদিও এটা একটা পর্যায়ে গিয়ে তাদের একসাথে জীবন যাপন করার জন্য অনেক উপকার করে। তাৎক্ষণিক বিয়ে করার জন্য এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী। এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ একে অপরের সাথে বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারে। এবং একে অপরকে স্বামী এবং স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে জীবনের বাকি জীবন পার করে, একই সাথে বা বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন একজন মানুষ দেশে থাকা অবস্থায় ও বিভিন্ন বিদেশ বা অন্য দেশের মানুষের সাথে কিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে। 

কালিমা পড়ে বিবাহ করার নিয়ম বিস্তারিত জানুন 

কালিমা পড়ে বিবাহ করার নিয়ম বিস্তারিত জানুন, কারণ আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে পবিত্র কালাম হচ্ছে কালিমা। এই কালিমা পড়ার মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম তার হাতে হাত দিয়ে উম্মতদেরকে তবা পড়ার কথা বলতেন এবং মুসলমান হতে বলতেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কেউ যদি কালিম পড়ে আল্লাহতালাকে সাক্ষী করে এবং মহানবীকে সাক্ষী করে বিবাহ করে। তবে বর্তমানে এ ধরনের নিদর্শন দেখা যায় কারণ বাবা-মা বা পরিবার থেকে মেনে না নেওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। 

ছেলে মেয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন মসজিদ বা মাঝারে গিয়ে তাদের বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে। একা একাই কালিমাকে সাক্ষী রেখে বিবাহ পড়ে নেই। এক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে দেখা যায় যে একজন মানুষ যেহেতু মন থেকে সম্পর্ক মেনে নেওয়াটাই সবচাইতে বড় বিষয় তাই কেউ যদি মন থেকে কাউকে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালামে স্বাক্ষি রেখে মেনে নেয় সেটাও বিবাহ হতে পারে। তবে বিবাহ করার জন্য সাক্ষী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই শরীয়ত অনুযায়ী দুইটি সাক্ষী প্রয়োজন উভয় পক্ষের জন্য। 

অনেকে বিয়ে করে কোর্ট ম্যারজ করে বা বিভিন্ন ধরনের পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের বিয়ে করা সঠিক হবে তখনই যখন তারা যে কোনো ধরনের বিশ্বস্ত সাক্ষী যা তারা করে শরীয়তের সম্মুখে বলতে পারবে যে তারা দুইজনে একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। এবং মনের মিল থাকলে তারা পরে সেই কাজটি ভালো করে বা জনসম্মুখে সাক্ষী রেখে করে নিতে পারবে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিবাহ সংঘটিত হওয়া যায়। সকল কিছু আল্লাহর নির্ধারিত জন্ম-মৃত্যু এবং বিয়ের এই বিষয়গুলো আল্লাহতালা নিজে নির্ধারণ করেন। 

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের নিয়ম pfd জানুন

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের নিয়ম কি এটা আমাদের জানা উচিত। কারণ প্রত্যেকটি মানুষেরই কখনো না কখনো বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়। কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা ব্যতিক্রম তাছাড়া সকল মানুষই স্বামী স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বয়সের পরিপূর্ণতা। এবং যে দুজন বিয়ে করবে তাদের মধ্যে সম্মত থাকা।

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের নিয়ম pfd

যদি কেউ কারো সাথে জোর করে বিয়ে দিতে চায় তাহলে সেই বিয়েটা জায়েজ নয়, কারণ জোর করে কখনো বিয়ে হয় না বা সম্পর্ক হয় না। যদিও বর্তমান যুগে এরকম অনেক নজির রয়েছে যেখানে মেয়ে বা ছেলে রাজি না থাকা সত্ত্বেও একে অপরের সাথে সংসার এবং বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে প্রথম অবস্থায় রাজি না থাকলেও পরে তাদের ভিতরে মিল মহব্বত হয়ে যায়। 

সে ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে করার প্রধান নিয়ম হচ্ছে উভয় পক্ষকে রাজি থাকতে হবে, এবং সম্মতি দিতে হবে। এরপর আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নিয়ম এবং কুরআনের মত অনুযায়ী সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য বিবাহের যে খুতবা রয়েছে সেটা পড়তে হয় তা পড়ার পর সকল বিষয়ে অবগত করে বর এবং কন্যাকে সম্মতি দেওয়ার জন্য বলা হয়। বা কবুল বলতে বলা হয়, তারা যদি সজ্ঞানে কবুল বলে নেই। তাহলে অবশ্যই বিয়ে হয়ে যায়। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে পড়ার নিয়ম। 

মুসলিম বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানুন 

মুসলিম বিবাহ পড়ানোর নিয়ম জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। যদিও জ্ঞানীগুণী লোকের প্রয়োজন হয় বিবাহ কাজ সম্পন্ন করতে। তবে আপনি যদি বিবাহ পড়ানোর জন্য উপরে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে শরীয়তী নিয়ম অনুযায়ী সেই নিয়ম গুলো জানা থাকে, তাহলে উক্ত নিয়ম অনুসরণ করে মুসলমান সমাজের মানুষের মধ্যে বিবাহ বন্ধনের আবদ্ধ করতে পারবেন। 

মুসলিম বিবাহ পড়ানোর জন্য মুসলিমদের মধ্যে যে রীতি নীতি প্রচলিত রয়েছে। সেই নীতি গুলো সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। এবং মুসলিম বিবাহ পড়ানোর জন্য একে অপরের কাছে জিজ্ঞেস করা হয় যে, তাদের বিবাহ করার জন্য সম্মত আছে কিনা। তাদের যদি বা ছেলে মেয়ের যদি সম্মত থাকে এবং তাদের পরিবারে যদি কোন সমস্যা বা দ্বিমত না থাকে, সেই মুসলিম পরিবারের বর তার মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে। এবং বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর। মিষ্টি মুখ করে এবং সকলের কাছে বিদায় নিয়ে বর বউকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে। 

প্রথম দিন আসার পরে বরের বাসায় একদিন থেকে সেখান থেকে মেয়ে পক্ষের লোক আবার নিতে আসে, তারা নিয়ে যাওয়ার একদিন পরে বরপক্ষের বাসায় থেকে আবার মানুষ নিতে যায় এবং এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার জন্য এক সপ্তাহ বরের বাড়ি থেকে তারপরে বিয়ের সকল কাজ শেষ হয়। বলে ভাবা হয় কারণ এই কাজগুলোকে বলা হয় বিয়ে করার জন্য সকল নিয়ম পালন করা আপনি বিয়ে করতে চাইলে অবশ্যই মুসলিম রীতি নীতি অনুযায়ী এই সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম গুলো পালন করতে হবে। 

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম নিয়ে শেষ মন্তব্য

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম নিয়ে আপনাদের সামনে যথেষ্ট সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যে তথ্যগুলো ব্যবহার করে বর্তমান সমাজের বিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হয়। তাই আপনি যদি বিয়ে সম্পর্কে বা সুন্নতি তরিকায় কিভাবে বিয়ে পড়াতে হয় সে বিষয়ে না জেনে থাকেন, তাহলে উক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই ও বিবাহ পড়ার নিয়ম আলকাউসার জেনে নিতে পারেন। যা বিবাহ সম্পর্কে আপনার ধারণা আরো সুন্দর এবং স্পষ্ট করে তুলবে। 

সুতরাং আপনি যদি একজন ইসলাম ধর্মী মানুষ হন তাহলে অবশ্যই ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ কাজ সম্পন্ন করবেন। বিবাহ করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মেয়ে এবং ছেলের সম্মতি। এরপরে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে কমপক্ষে দুইজন করে সাক্ষী। যারা ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী তাদের বিয়ের সময় উপস্থিত থাকবে এবং সাক্ষী হিসেবে সই করবে বিয়ের যে কাবিননামা রয়েছে। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের উপকার করবে তাই পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়ানোর নিয়ম কী?

সুন্নত তরিকায় বিবাহ পড়াতে হলে কাবিন নামা তৈরি করে, ইজাব-কবুল (সম্মতি) প্রকাশ করতে হয় দু’জন সাক্ষীর সামনে। খুতবা পড়া, দরুদ শরীফ ও আল্লাহর প্রশংসা করা উত্তম। এরপর বিবাহ সম্পাদনের দোয়া করা হয়।

বিবাহ খুতবা কখন ও কীভাবে পড়া হয়?

বিবাহের খুতবা পড়া হয় ইজাব-কবুলের আগে। এতে আল্লাহর প্রশংসা, নবী (সা.)-এর উপর দরুদ ও তাকওয়ার উপদেশ থাকে। এটি আরবি ভাষায় পড়া হয়, তবে বাংলা অনুবাদ বলাও উত্তম।

বিবাহ পড়াতে কী কী দোয়া ও আয়াত পড়া হয়?

খুতবার সময় সূরা আল-হাশরের একটি আয়াত, সূরা নিসা ও সূরা আলে ইমরানের কিছু আয়াত পড়া হয়। এরপর নবদম্পতির জন্য বরকতের দোয়া: "বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা..." পড়া হয়।

বিবাহ পড়ানোর জন্য সাক্ষী কতজন লাগবে?

কমপক্ষে দুইজন ন্যায়পরায়ণ পুরুষ মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতি সুন্নত তরিকায় বিবাহ সম্পাদনের জন্য আবশ্যক। তাদের সম্মুখে ইজাব-কবুল হতে হবে।

আলকাউসার জান মতে বিবাহ পড়ার নিয়ম কী?

আলকাউসার জান-এর মতে, সুন্নাত মোতাবেক বিবাহ পড়াতে কাবিনের শর্ত ঠিক করে, খুতবা পড়ে, ইজাব-কবুলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং নবদম্পতির জন্য মাগফিরাত ও বরকতের দোয়া করতে হয়। এটি শরিয়ত অনুযায়ী সঠিক বিবাহের অন্যতম পন্থা।

About the author

Tech Taosin
Tech Taosin, Blogger tips, SEO, web development, HTML, CSS, JavaScript, blogging tools, digital marketing, website optimization

Post a Comment